অনলাইনে টাকা আয় করার উপায়

অনলাইনে টাকা আয় করার উপায়


Posted on: 2021-06-04 23:44:50 | Posted by: eibbuy.com
অনলাইনে টাকা আয় করার উপায়

অনলাইনে টাকা আয় করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। সঠিক গাইডলাইনের অভাবে বাংলাদেশে অনলাইনে টাকা আয়ের ব্যাপারটি মানুষ তেমন একটা হজম করতে পারে না। আপনার যদি কোনো বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকে তাহলেই আপনি অনলাইনে আয় শুরু করে দিতে পারেন। ধরুন আপনি মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি তুলতে পারেন। তাহলে আপনি আপনার তোলা ছবি বিক্রি করে আয় করতে পারেন। ছবি বিক্রির অনেক ওয়েবসাইট আছে, সেখানে ছবি বিক্রি করতে পারেন। আবার ধরুন আপনি ভালো ছবি আঁকতে পারেন, তাহলে অনলাইনে মার্কেটিং করে আপনি আপনার ছবি বিক্রি করতে পারেন। তারপর আপনি অনলাইনে আরও নানা কাজ করতে পারেন, যেমন ধরুন ওয়েব ডিজাইনিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভেলপিং,কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি অনেক কাজ আছে। এগুলোর কোনো একটি শিখে খুব সহজেই অনলাইনে টাকা আয় শুরু করে দিতে পারেন। অনেকই গুগল ইউটিউব ইত্যাদিতে অনলাইনে টাকা আয়ের উপায় খুজে থাকেন। হ্যাঁ, অনলাইনে টাকা আয় করা সহজ একটি ব্যাপার, তবে আপনাকে কোনো বিষয়ে ভালো দক্ষ হতে হবে। ইউটিউবে এরকম অনেক ভিডিও পাবেন, যেখানে বলা হয় অমুক ওয়েবসাইটে লগইন করে টাকা আয় করুন, গেম খেলে টাকা আয় করুন ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো একপ্রকার সময় অপচয় করার মাধ্যম। আজকে আমরা আলোচনা করবো অনলাইনে টাকা আয় করার নানা উপায় নিয়ে।

১.কপি রাইটিং


যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে নতুন তাদের জন্য কপিরাইটিং খুব ভালো একটি আইডিয়া। এটি খুব সহজ একটি কাজ। কিন্তু ধৈর্য ধরে কাজটি করতে হয়। আপনাকে কোনো লেখালেখির পিডিএফ ফাইল বা ছবি দিয়ে বলা হবে সেটি টাইপ করে দেওয়ার জন্য। তাছাড়া ভিডিও বা অডিও স্ক্রিপ্ট টাইপ করতে বলতেও পারে। যাদের কম্পিউটারে অন্যান্য কাজ এখনও শিখা হয়নি তাদের জন্য কপিরাইটিং করা অনলাইনে টাকা আয়ের একটি ভালো উপায়। কপি রাইটিং এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট সময় দেয়া হবে যে সময়ের মধ্যে লেখা কপি করে টাইপ করে দিতে হবে। কপি রাইটিং শুরু করার আগে টাইপিং স্কিল বাড়িয়ে নিবেন যাতে অল্প সময়ে বেশি টাইপ করতে পারেন। অনলাইনে কাজ করে  টাকা আয় করা যায়, এটা অনেকেই জানেন কিন্তু ঠিক কোথায় কিভাবে কাজ পাবেন, সেটা খুব কম মানুষই জানেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনি কপি রাইটিং এর কাজ পাবেন। যেমন..

১. upwork.com
২. freelancer.com
৩. fiverr.com
৪. payoneer.com



অনলাইনে সহজে কাজ পাওয়ার উপায়ও আজকের পর্বে উল্লেখিত রয়েছে। জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

২.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংকে অনেকেই রিসেলিং এর সাথে গুলিয়ে ফেলেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আর রিসেলিং এক নয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল কোনো কোম্পানির পন্য আপনি নিজে মার্কেটিং করে বিক্রি করবেন, পন্য গ্রাহকের কাছে পৌছানো, পরিবহন খরচ ইত্যাদি কোম্পানি বহন করবে। শেষে কোম্পানি আপনাকে কমিশন দিবে। এ কমিশনের পরিমাণ আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। পন্যের মুল্যের একটি অংশ কমিশন হিসেবে আপনাকে দেওয়া হবে। অনলাইনে টাকা আয়ের যতগুলো উপায় আছে তার মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম একটি উপায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রায়ই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য নিয়োগ দেয়। সেখানে আবেদন করে আপনিও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে কোম্পানি আপনাকে একটি ইউনিক লিংক প্রদান করবে। আপনার মাধ্যমে যখন কোনো কাস্টমার ঐ কোম্পানির পন্য কিনবে তখন আপনি কাস্টমারকে ঐ লিংকটি ব্যবহার করতে বলবেন। এর মাধ্যমে কোম্পানি হিসাব করতে পারে আপনি কি পরিমাণ বিক্রি করতে পেরেছেন। আপনি যদি পোষাতে পারেন, নিজেই ঐ পন্যের এডভারটাইজিং করতে পারেন।

৩. রিসেলিং ব্যবসা

অনলাইনে রিসেলিং ব্যবসা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কমিশন থাকে নির্দিষ্ট কিন্তু রিসেলিং ব্যবসায় এ কমিশনের পরিমাণ অনির্দিষ্ট। রিসেলিং ব্যবসায় কি পরিমাণ লাভ করতে পারবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার বিক্রি করার দক্ষতার উপর। কোনো পন্য ক্রয় করে তা পুনরায় বিক্রি করাই হল রিসেলিং। যাদের পন্য রিসেল করবেন তাদের সাথে চুক্তি করে নিবেন যে, আপনি অর্ডার পেলে তাদের জানাবেন এবং সাথে সাথেই যেন তারা পন্যের শিপমেন্টের ব্যবস্থা করে। শিপমেন্ট খরচ যে কারও পকেট থেকে যেতে পারে। গ্রাহক যদি শিপমেন্ট খরচ দেয় সেটা আগেই উল্লেখ করে দিতে হবে। রিসেলিং ব্যবসায় পন্যের দাম ক্রয়মুল্য থেকে বাড়ানোর জন্য পন্যকে মডিফাই করতে পারেন। যেমন ধরুন আপনি খেজুর রিসেল করবেন। এর জন্য খেজুর কিনে সেগুলো উন্নত মানের প্যাকেটজাত করবেন। ভালো মানের খেজুর আলাদা করবেন। এমনকি নামও পরিবর্তন করতে পারেন। খেজুর তো একটি উদাহরণ মাত্র। যেকোনো পন্য একটু মডিফাই করে দাম বাড়ানো যায়।
রিসেলিং ব্যবসায় পুঁজি প্রয়োজন হবে। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ব্যবসা পুঁজি ছাড়াই শুরু করতে পারেন।

৪. অনলাইন কোর্স তৈরি

অনলাইনে টাকা আয় করতে চান কিন্তু আপনার কোনো বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকবেনা, সেটা চলবেনা। কোনো না কোনো বিষয়ের উপর আপনাকে মোটামুটিভাবে দক্ষ হতে হবে, যদি আপনি অনলাইনে টাকা আয় করতে চান। যদি দক্ষতা না থাকে তাহলে অর্জন করুন। আরও শিখুন। কোর্স করুন।  টিউটোরিয়াল দেখুন। এভাবে যখন আপনি কোনো বিষয়ে এমন দক্ষ হবেন যে অন্যকেও শিখাতে পারবেন তখন অনলাইন কোর্স তৈরি শুরু করে দিতে পারেন। মনে করুন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর এক্সপার্ট। এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর কোর্স আপলোড করে দিতে পারেন। যখন কেউ এ কোর্স কিনবে তখন আপনি টাকা পেয়ে যাবেন। তবে কোর্স বিক্রির জন্য ভালোভাবে মার্কেটিং করতে হবে। কিছু ভিডিও ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত আপলোড করতে হবে। এতে ওখান থেকেও আয় হবে। তবে কোর্সের সব ভিডিও আপলোড দিবেন না। প্রথম প্রথম হয়ত আপনার ভিডিওর মান তত একটা ভালো হবেনা। তাই বলে হাল ছেড়ে দিবেন না। আপনার অভিজ্ঞতা যত বাড়বে ভিডিও কোয়ালিটিও তত ভালো হবে। এতে আপনার গ্রাহক, ভিউয়ার উভয়ই বাড়বে। আপনার ভিডিও কোয়ালিটি বা কোর্সের কোয়ালিটি বাড়ানোর জন্য কয়েক বছর সময়ও লাগতে পারে। সমস্যা নেই, সময় লাগুক। ছেড়ে দিবেন না।

ইউডেমি,লিন্ডা, স্কিলশেয়ার এসকল সাইট আপনাকে অনলাইনে কোর্স বিক্রির ব্যবসা করতে সহযোগিতা করবে। ধীরে ধীরে এ ব্যবসায় আয় বাড়তে থাকে। সুতরাং অনলাইনে টাকা আয়ের উপায় হিসেবে অনলাইন কোর্সের ব্যবসার আইডিয়াটি দারুণ একটি আইডিয়া।

৫. অনলাইন শিক্ষকতা

অনলাইনে শিক্ষকতার প্রয়োজন কেমন সেটা খুব ভালো করেই টের পেয়েছি আমরা করোনা মহামারী থেকে। বিশেষ করে যাদের শিক্ষকতা বা টিউশনির অভিজ্ঞতা আছে তাদের  জন্য খুব সহজ হবে অনলাইন শিক্ষকতা শুরু করা। অনলাইন শিক্ষকতা শুরু করার প্রথম ধাপ হল ফেসবুক পেইজ এবং গ্রুপ খোলা। গ্রুপে শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারবে। সাথে ইউটিউব চ্যানেল খোলা। অনলাইন শিক্ষকতায়  তিনভাবে আয় হতে পারে। প্রথমটি হল ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে আয়। সেখানে ভিউ অনুযায়ী আয় হবে। দ্বিতীয়টি হল কোর্স বিক্রি করে। কোর্স বিক্রি করে কিভাবে আয় করবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। আর তৃতীয় উপায়টি হল পেইড ক্লাস। এর জন্য ফেসবুকে একটি প্রাইভেট গ্রুপ থাকতে হবে যেখানে যারা প্রতি মাসে টাকা পেমেন্ট করবে তারাই থাকবে। এখানে নিয়মিত লাইভ ক্লাস নিবেন। লাইভ ক্লাস জুম অথবা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে করতে পারেন। গুগল ফর্মের মাধ্যমে নিয়মিত পরিক্ষা নিবেন। এভাবে অনলাইন শিক্ষকতা করে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়।

৬. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল জগতে আমাদের বিচরণ দিন দিন বেড়েই চলছে। সেই সাথে বাড়ছে ভার্চুয়াল জগতে আয় করার মাধ্যম। ভার্চুয়ালি ব্যবসাগুলোই আজ সবার উপরে। প্রায় সময়ই মানুষ গুগল সার্চ করে অনলাইনে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। অনলাইনে কাজ করাও এক প্রকার ভার্চুয়াল কাজ। এ ভার্চুয়াল কাজে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন হয়। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ কি?  ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্ট এর কাজ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনাকে ফেসবুকে বিভিন্ন কমেন্টের উত্তর দেওয়ার জন্য বলা হতে পারে। আবার কাস্টমার কেয়ারের কাজ দিতে পারে। ফেসবুক পেইজ বা গ্রুপ মেইনটেন করার কাজ দিতে পারে। হিসাব নিকাশ থেকে শুরু করে ওয়েব ডিজাইনিং সহ যেকোনো কাজই একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ হতে পারে। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনি এ কাজ পাবেন। তবে এ ধরনের কাজ শুরু করার আগে কাজের নিয়ম, পেমেন্ট সিস্টেম এসব বিষয় ভালো করে দেখে নিবেন। বাংলাদেশের মানুষ খুব কম সময়ই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয়। এ কাজ উন্নত দেশগুলো থেকেই বেশি আসে। তাই তাদের সাথে কমিউনিকেশনটা ভালোভাবে করতে হবে। তাই ইংরেজি ভাষায় ভালো দক্ষ হলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ভালো করা যায়।

৭. ট্রান্সক্রাইবিং

ট্রান্সক্রাইবিং অনেকটা কপি রাইটিং এর মতোই। অনলাইনে টাকা আয়ের উপায় হিসেবে ট্রান্সক্রাইবিং জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। ট্রান্সক্রাইবিং হল কোনো ভিডিও বা অডিওর বক্তব্যকে হুবহু লেখা। আপনাকে একটি ভিডিও বা অডিও ফাইল দেয়া হবে। বলা হবে এখানে যে কথাগুলো বলা হয়েছে তা লিখে দিতে হবে।  ট্রান্সক্রাইবিং এর বেশিরভাগ কাজ হয় ইংরেজিতে। তাই এ কাজ করার জন্য ইংরেজি ভাষায় পটু হতে হবে। পাশাপাশি রাইটিং স্কিলও ভালো থাকতে হবে। এ ধরনের কাজও আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে পাবেন।

৮. অনলাইন ডোমেইন ফ্লিপিং

ডোমেইন ফ্লিপিং মূলত এক প্রকার ব্যবসা। অনলাইন ডোমেইন ফ্লিপিং হল কোনো ডোমেইন নেইম কিনে রেখে দেওয়া। পরে বেশি দামে বিক্রি করে লাভ করা। এ ব্যবসায় একটু ঝুঁকি আছে। তাই ডোমেইন ফ্লিপিং ব্যবসা শুরু করার আগে একটু পড়াশোনা করে নিবেন।

দেখে নিতে হবে কোন ধরনের ডোমেইন নেইমের চাহিদা বেশি। সেই অনুযায়ী আপনাকে ডোমেইন নেইম কিনতে হবে। এক্ষেত্রে এখোনো কেনা হয়নি এমন ডোমেইন নাম খুজতে আপনাকে অনেক ঘাটাঘাটি করতে হবে। আবার ডোমেইন নাম রিনিউ করা হয়নি এমন ডোমেইনও কিনতে পারেন। এবার আসি কোন কোন সাইটে ডোমেইন নাম কেনাবেচা করবেন....
১. flippa.com
২. freemarket.com
৩. sedo.com

এগুলো ডোমেইন নাম কেনাবেচার জনপ্রিয় সাইট।


অনেকেই কাজ করতে পারেন কিন্তু কাজ পান না। অনলাইনে সহজে কাজ পেতে হলে আপনাকে আপনার স্কিল প্রেজেন্টেশন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে আপনার কাজের নমুনা সংযুক্ত করা যায়। সেখানে গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে আপনার কাজগুলো শেয়ার করবেন। এভাবেই আপনি সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন।

আজকের আলোচনা নিয়ে যদি কোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ।


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:
alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js